বিবাহযোগ্য মুসলিম পাত্র-পাত্রী
খোঁজার সহজ মাধ্যম

Bangladesh's Trusted Matrimony Platform

quote
quote
quote
জীবনসঙ্গী খুঁজুন
18
80

বিসমিল্লাহ

সহজনিকাহ

কি?
left-heartright-heart

সহজনিকাহ ম্যাট্রিমনি বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য একটি অনলাইন ভিত্তিক ম্যাট্রিমনি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বিবাহযোগ্য সকল মুসলিম পাত্র-পাত্রী তাদের বায়োডাটা তৈরির পাশাপাশি নিজেদের মতো উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খুঁজতে নিতে পারে খুব সহজেই।

আমাদের উদ্দেশ্য বিবাহকে সহজ করা। বর্তমান এই ফেতনার সময়ে হারাম সম্পর্কে জড়ানো অনেক সহজ হলেও, বৈধ এবং পবিত্র সম্পর্কে জড়ানো অর্থাৎ বিবাহ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই পাত্র-পাত্রীর সন্ধানকে সহজ করার মাধ্যমে বিবাহকে সহজ করা আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।

কেন

সহজনিকাহ

বেছে নিবেন?

বায়োডাটা সম্পূর্ণ গোপন রেখে যোগাযোগ এবং প্রাথমিক প্রস্তাব পাঠানোর সুযোগ

cardIcon1

ভেরিফাইড প্রোফাইল

  • নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই।
  • মোবাইল ও ইমেইল ভেরিফিকেশন।
  • ম্যানুয়াল ভেরিফিকেশন।
cardIcon1

প্রাইভেসি কন্ট্রোল

  • তথ্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগ।
  • অনুমোদন ছাড়া যোগাযোগের তথ্য প্রদান নয়।
  • প্রোফাইল পাবলিক/প্রাইভেট কন্ট্রোল।
cardIcon1

সুরক্ষিত তথ্যের নিশ্চয়তা

  • উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেম।
  • তথ্য গোপন রাখার নিশ্চয়তা।
  • তৃতীয় পক্ষের সাথে কোন তথ্য শেয়ার নয়।

সহজনিকাহ

যেভাবে কাজ করে

বায়োডাটা তৈরি করুন

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন করে খুব সহজেই নির্ধারিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিনামূল্যে আপনার বায়োডাটা তৈরী করতে পারবেন।

বায়োডাটা তৈরি করুনডিটেইলস দেখুন
workImage

বায়োডাটা খুঁজুন

ফিল্টার অপশনের মাধ্যমে আপনি পছন্দ অনুযায়ী জেলা, বয়স, শিক্ষা, পেশা, ইত্যাদি বাছাই করে জীবনসঙ্গী খুঁজতে পারবেন। বায়োডাটা তৈরী করা থাকলে আপনার জীবনসঙ্গীও হয়তো আপনাকে খুঁজবে ইন শা আল্লাহ।

টিউটোরিয়াল দেখুন
workImage

প্রাথমিক প্রস্তাব ও যোগাযোগ

বায়োডাটা পছন্দ হলে টোকেন সিস্টেমে পেমেন্ট করলেই অপরপক্ষকে প্রাথমিক প্রস্তাব পাঠাতে এবং অভিভাবকের যোগাযোগ তথ্য দেখতে পারবেন।

টিউটোরিয়াল দেখুন
workImage

বিয়ে সম্পন্ন করুন

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ এবং নিজ দায়িত্বে খোঁজ নেওয়ার পর সার্বিকভাবে পছন্দ হলে শীঘ্রই বিবাহ সম্পন্ন করুন। বিবাহের সময় বা এর পরবর্তীতে আমাদের কোনো চার্জ নেই।

workImage
বায়োডাটা পছন্দ হলে কি করবেন?
afterChoice
afterChoice
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নাসীহাহ
flower

আসসালামু আলাইকুম!

প্রিয় অভিভাবকমন্ডলী, আপনারা আমাদের পাশে থেকে একটি মহান দায়িত্ব পালন করছেন। সন্তানদের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনাদের অন্যতম দায়িত্ব। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা জানুন, যা সন্তান এবং পরিবারের জন্য কল্যাণকর।

আপনার সন্তানের বিয়াতে দেরি করবেন না

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদেরও। যদি তারা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ তো প্রাচুর্যশীল, সর্বজ্ঞ।

সুরা আন-নূর: ৩২
বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী ছেলেরা ২১ বছর এবং মেয়েরা ১৮ বছর হলে বিবাহ করার অনুমতি রয়েছে। এই সময়ে তাদের বিবাহের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং অবিলম্বে বিবাহের ব্যবস্থা করা জরুরি। আমাদের সমাজে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এবং বাহ্যিক জটিলতাগুলোর কারণে সন্তানদের বিয়ে পিছিয়ে যায়।

সময়মতো বিবাহ না করার ক্ষতি

যৌবন হলো জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন বিভিন্ন চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষা থাকে। সন্তানরা সবসময় নিজেদের চাহিদা প্রকাশ করতে পারে না, কিন্তু আপনারা অভিভাবকরাই তাদের মনের অবস্থা বুঝে নিতে পারেন। বিবাহ না করানোর ফলে, তারা অনেক সময় গোপন গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়তে পারে।

হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন:

হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে।

সহিহ বোখারি-৫০৬৬ ও মুসলিম-১৪০০
যদি সন্তান গুনাহের পথে চলে যায়, তবে তার গুনাহের দায়ভার আপনাদের উপরেও চলে আসে। এ কারণে সন্তানদের দ্রুত বিয়ের জন্য সহায়তা করা এবং তাদের হালাল পন্থায় জীবন পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

ছেলেদের ইনকামে সাহায্য করুন

অনেক অভিভাবক মনে করেন যে, ছেলেদের আগে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তারা যখন জীবনের শুরুতে ইনকামের ছোট কোনো মাধ্যম তৈরি করতে চায়, তখন তাদের পাশে দাঁড়ান। সামান্য কিছু হলেও একটি ভালো দিকনির্দেশনা দিতে পারলে, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে শিখে যাবে।

সন্তানদের অভিভাবকরাই বুঝে নিন

বিবাহের কথা ছেলে-মেয়েরা কখনোই অভিভাবকদের সামনে প্রকাশ করতে যাবে না। আপনাদেরই তাদের মনের অবস্থা বুঝে নিয়ে, তাদের উপযুক্ত সময়ে এই সুন্দর সুন্নাহ পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। দেরি করলে বা তাদের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করলে, তারা ভুল পথে চলে যেতে পারে।

আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন

অন্য সব কাজের মতোই বিয়ের ক্ষেত্রেও আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:

যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা রাখে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।

সুরা আত-তালাক: ৩
তাই, অভিভাবকগণ, দেরি করবেন না। আপনার সন্তানের যৌবনের নিরাপত্তার জন্য তাদের দ্রুত বিবাহ দিন এবং আল্লাহর হুকুম পালন করে তাদের জন্য এক নতুন জীবনের দ্বার উন্মুক্ত করুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দেন করুন । আমীন।
পাত্র-পাত্রীর উদ্দেশ্যে নাসীহাহ
flower

আসসালামু আলাইকুম!

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশনা মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব। বর্তমান সময়ে নিজেকে পবিত্র রাখা এবং সঠিক পথে চলা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে থাকার কোনো বিকল্প নেই।

বিবাহের গুরুত্ব ও সংযম

বিবাহ আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত, যা আমাদের চরিত্র রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ জীবনের পথ প্রদর্শন করে।

রাসুল (সা.) বলেছেন:

হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা এটি দৃষ্টি অবনতি থেকে রক্ষা করে এবং লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণ করে। আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কেননা এটি তার জন্য ঢালস্বরূপ।

সহিহ বোখারি-৫০৬৬ ও মুসলিম-১৪০০
তাহলে, যদি বিয়ের সামর্থ্য না থাকে, তবে রোজা রাখা দ্বারা নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা করো। আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন ইন শা আল্লাহ।

পিতামাতাকে বোঝানোর চেষ্টা করো

অনেক সময় তোমাদের পিতামাতা হয়তো তোমাদের মনের অবস্থা বুঝতে সক্ষম হন না। আবার বুঝলেও দেখা যায় সামাজিক ও পারিপার্শিক কারণে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তোমাদের উচিত যথাসম্ভব নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করা। পিতামাতার মনে তোমার মনের কথা পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারো। সরাসরি কথা বলতে না পারলেও বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিতে পারো, যেন তারা বুঝতে পারে তোমার প্রয়োজন।
মেয়েদের জন্য এটি অনেক কঠিন, তবে সরাসরি না বলতে পারলেও বাবা-মায়ের সামনে বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারো। আর ছেলেরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি বা ছোট ব্যবসা শুরু করে অল্প আয় করার চেষ্টা করতে পারো। এরপর আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা করো। তাদেরকে বোঝাও যে, এটি তোমার চরিত্র রক্ষার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

অভিভাবকদের জন্য নসীহা পড়তে উৎসাহিত করো

তোমাদের বাবা-মা যদি এই ব্যাপারে দ্বিধায় থাকেন, তবে তাদেরকে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন ইসলামিক লেকচার, বই বা আর্টিকেল পড়তে উৎসাহ দিতে পারো। এমনকি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নসিহাটাও হতে পারে বোঝানোর ক্ষেত্রে সহায়ক।

আল্লাহকে ভয় করো, ধৈর্য ধরো

সবশেষে, সর্বদা আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখো। তিনি সবই দেখেন, শোনেন, তোমাদের মনের অবস্থাও জানেন। কাজেই তোমরা কোনো কঠিন বিপদে আছো মানেই, আল্লাহ তোমাদের পরীক্ষা করছেন। সবর করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ এর বিনিময়ে উত্তম কিছু রেখেছেন সামনে। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আমাদের সতর্ক করেছেন:

তোমরা ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেয়ো না।

সুরা আল-ইসরা: ৩২
তোমাদের জন্য যে সকল প্রলোভন রয়েছে, তা থেকে নিজেকে সংযত রাখো। ধৈর্য ধরো এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। আল্লাহর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখলে তিনি অবশ্যই তোমার জন্য উত্তম ব্যবস্থা করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন এবং হালাল পন্থায় জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন। আমীন।